গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা পতনের পর ধর্মীয় উগ্রপন্থার উত্থানের আলামত তুলে ধরেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। যদিও বাংলাদেশ সরকার একে বিভ্রান্তিকর ও একতরফা বলে খারিজ করে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগ নিয়ে ইসলামী চরমপন্থীরা দৃশ্যপটে এসে নারী ফুটবলে বাধা, নারীকে হেনস্তা করা, ব্যক্তিকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার মতো বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়া যদি সরকার ইসলাম অবমাননাকারীদের মৃত্যুদণ্ড না দেয়, তাহলে নিজেরাই শাস্তি কার্যকর করবে, কয়েকদিন পর, একটি নিষিদ্ধ সংগঠন মিছিল করেছে, যেখানে ইসলামিক খিলাফত দাবি করা হয়েছে, এমন তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। নতুন সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা উঠিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। নাহিদ ইসলাম বলেছেন, 'সংবিধানে পরিবর্তন আনা হলেও গণতন্ত্র, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রতি ঘৃণা করার মতো মূল্যবোধগুলো টিকে থাকবে।' প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইউনুস সরকার চরমপন্থার বিরুদ্ধে যথেষ্ট কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেনি এবং গণঅভ্যুত্থানের মেয়েরা এ পরিস্থিতিতে বেশ বিব্রত। এছাড়া এই প্রতিবেদনে জামাত ধর্ম ও রাজনীতির মিশেলে এরদোগানের মডেলের প্রতি আস্থা জানিয়েছে।