মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি হেফাজতে ইসলাম দেয়নি, এটির দায়ও হেফাজতে ইসলামের নয়। যিনি এ উপাধি দিয়েছেন, তিনি হেফাজতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না; বরং তিনি আওয়ামী লীগ-সমর্থিত এবং ওই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী একজন আলেম ছিলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে শোকরানা মাহফিল নিয়ে হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন নেতৃত্বের মধ্যেও দ্বিধা-বিভক্তি ছিল। তৎকালীন মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, নুর হোসাইন কাসেমীসহ বহু শীর্ষ নেতা সেদিন উপস্থিত ছিলেন না। মাহফিলটি মূলত বেফাক সংশ্লিষ্ট আয়োজন ছিল। তবে সরকার পরিকল্পিতভাবে সেখানে হেফাজতে ইসলামের নাম ব্যবহার করতে বাধ্য করেছে। আসলে বিষয়টি ছিল কওমি সনদের স্বীকৃতি নিয়ে- যা দীর্ঘদিন ধরে কওমি ছাত্রজনতার প্রাণের দাবি ছিল। সেই দাবির প্রেক্ষাপটে আলেম সমাজকে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে ন্যুনতম সমন্বয় করতে হয়েছে। এটা দুঃখ প্রকাশ করার মতো কোনো কিছু বলে আমি মনে করি না। তবে সেখানে তৎকালীন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা হেফাজতের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে যে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছিল, আমরা তখনই এর প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং আজও জানাচ্ছি।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।