দীর্ঘ ছয় বছরের আইনি লড়াই শেষে বৃটিশ হোম অফিস বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক চৌধুরী মঈনুদ্দিনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছে। ২০১৯ সালে হোম অফিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তাকে চরমপন্থার সঙ্গে যুক্ত করা হয় এবং বাংলাদেশের বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মঈনুদ্দিন এই অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। ২০২৪ সালের জুনে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মতভাবে তার পক্ষে রায় দেয় এবং সরকারের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রয়েল কোর্ট অব জাস্টিসে হোম অফিস প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে সম্মতি জানায়। এটি যুক্তরাজ্যের সরকারি কোনো বিভাগের অন্যতম বৃহত্তম মানহানি ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মঈনুদ্দিন বলেন, এই রায় সত্য ও ন্যায়বিচারের বিজয় নিশ্চিত করেছে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।