যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ২০৩৫ সালের মধ্যে ছয়টি নতুন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে চীনের হাতে মোট নয়টি বিমানবাহী জাহাজ থাকবে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সবচেয়ে বড় নৌবাহিনী সম্প্রসারণ হবে। বর্তমানে চীনের হাতে তিনটি বিমানবাহী জাহাজ রয়েছে, যা সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বর্তমানে ১১টি বিমানবাহী জাহাজ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টাইপ ০০৩ শ্রেণির ফুজান বিমানবাহী জাহাজ চীনের নৌবাহিনীর জন্য বড় অগ্রগতি। ৮০ হাজার টনের এই জাহাজে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপুলেট প্রযুক্তি রয়েছে এবং এটি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান ও কেজে-৬০০ পরিবহন বিমান বহন করতে সক্ষম। আগের লিয়াওনিং ও শানদুং জাহাজের তুলনায় ফুজান দীর্ঘ সময়ের মিশনে বেশি জ্বালানি ও অস্ত্র বহন করতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি বছর চীন চতুর্থ বিমানবাহী জাহাজ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এছাড়া, টাইপ ০৭৬ শ্রেণির উভচর যুদ্ধজাহাজেও ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপুলেট যুক্ত করা হচ্ছে, যদিও কতগুলো নির্মাণ করা হবে তা স্পষ্ট নয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাইওয়ানকে ঘিরে জয়েন্ট সোর্ড মহড়ায় চীন তার বিমানবাহী জাহাজ মোতায়েন করেছিল, যা সম্ভাব্য তৃতীয় পক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।