বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে প্রথম বড় অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ)–এর খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক একে ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই চুক্তি বাংলাদেশের নীতিগত ধারাবাহিকতা, বিনিয়োগ সুরক্ষা এবং নির্ভরযোগ্য বিরোধ নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
ইপিএ চুক্তি শুধু ঐতিহ্যবাহী উৎপাদন বা জ্বালানি খাতে সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং মোটরগাড়ি, ডিজিটাল সেবা, সরবরাহ ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে। জাপানি বিনিয়োগ প্রযুক্তি, দক্ষতা ও মানদণ্ড নিয়ে আসবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আধুনিক কাঠামোয় রূপান্তর করবে।
এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এই ধরনের চুক্তিকে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি হিসেবে দেখছে। সরকার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একই ধরনের অংশীদারত্ব গড়ার উদ্যোগও চলছে।