সম্প্রতি পেন্টাগনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন দ্রুত বিশ্বব্যাপী অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং পাকিস্তান বিমান যুদ্ধক্ষেত্রে চীনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীন ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে ২০টি জে-১০সি মাল্টিরোল ফাইটার বিমান সরবরাহ করেছে এবং আরও দুটি অর্ডারের মাধ্যমে এই সংখ্যা ৩৬-এ পৌঁছাবে। পাকিস্তান চীনের সঙ্গে যৌথভাবে জেএফ-১৭ থান্ডার বিমান উৎপাদন করছে, যা আজারবাইজান, মিয়ানমার ও নাইজেরিয়ার বিমান বাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে, এবং ইরাকও এতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
বিমান ছাড়াও চীন পাকিস্তানকে কাইহং ও উইং লুং সিরিজের উন্নত হামলাযোগ্য মানববিহীন বিমান সরবরাহ করেছে। নৌসামরিক ক্ষেত্রে পাকিস্তান ২০১৭ ও ২০১৮ সালে চীনের কাছ থেকে চারটি ফ্রিগেট পেয়েছে এবং ভবিষ্যতেও চীনের নৌসামরিক রপ্তানিতে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে থাকবে।
প্রতিবেদনটি জানায়, চীনা অস্ত্রের জনপ্রিয়তার কারণ হলো প্রতিযোগিতামূলক মূল্য, নমনীয় অর্থায়ন ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক শর্তের অভাব। পাকিস্তান-চীন সম্পর্ককে শুধু ক্রয় নয়, বরং যৌথ উন্নয়ন, উৎপাদন ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সহযোগিতার পূর্ণাঙ্গ অংশীদারিত্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে।