শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের হাতে মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যবই তুলে দিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। রোববার ‘২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের সফটকপি ওয়েবসাইটে আপলোডকরণ’ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নানা প্রতিবন্ধকতা ও চাপ সত্ত্বেও দায়িত্ব পালনে কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, পাঠ্যবইয়ের মান ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) একাধিক বৈঠক করেছে। ঢাকার প্রায় ২৫০ জন শিক্ষক সপ্তাহের পর সপ্তাহ বই সম্পাদনায় কাজ করেছেন, পাশাপাশি সারাদেশের প্রায় ৬ হাজার শিক্ষক অনলাইনে মতামত দিয়েছেন। এসব মতামত যাচাই করে বিশেষজ্ঞ কমিটি সংশোধনে অন্তর্ভুক্ত করেছে। প্রিন্টিং পর্যায়ে বিল পরিশোধ, ব্যাংক ঋণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পরিবহন জটিলতা সমাধানে কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন।
আবরার জানান, ২৬টি প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠান শতভাগ বই সরবরাহ সম্পন্ন করেছে এবং আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠান আগামীকাল সরবরাহ করবে। বিদেশে ছাপানোর প্রস্তাব থাকলেও সরকার দেশীয় প্রিন্টারদের ওপর আস্থা রেখেছে।