দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর জনতার বিশাল সমাবেশে তাকে স্বাগত জানানো হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তার প্রত্যাবর্তনকে বিএনপি ও বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান এবং তরুণ প্রজন্মকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখান। বক্তৃতায় তিনি মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের আদলে দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। দেশে ফেরার পর তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম শহীদুজ্জামান, ড. দিলারা চৌধুরী, ড. মাহবুব উল্লাহসহ অনেকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণের সূচনা হিসেবে দেখছেন। তারা বলেন, তার বক্তব্যে ঘৃণা বা প্রতিহিংসা ছিল না, বরং ঐক্য ও আশার বার্তা ছিল। তবে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে তারা মনে করেন। কেউ কেউ বলেন, তার ২৭ ও ৩১ দফা পরিকল্পনা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের নেতৃত্ব বিএনপির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা ও দেশের রাজনীতিতে নতুন গতি আনতে পারে।