আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটারদের চাপ কমাতে প্রায় দেড় লাখ নতুন গোপন বুথ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকবে, যা ৪২ হাজার ৭৬৬টি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে আইটি–সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট, যা প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও কারাবন্দিদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ইসির হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা হবে আড়াই লাখের বেশি এবং গোপন বুথের সংখ্যা চার লাখ ছাড়াবে। প্রতিটি ভোটকক্ষে ভোটার সংখ্যা ৬০০ থেকে কমিয়ে ৩৫০–৪০০ জনে নামানো হয়েছে, যাতে ভোটারদের অপেক্ষার সময় কমে। ভোটগ্রহণের সময়ও এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। তবে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় শ্রেণিকক্ষকে দুটি বুথে ভাগ করতে গিয়ে প্রবেশপথের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ভোট পরিচালনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মোট সাত লাখ ৭৮ হাজার ৩৫১ জন কর্মকর্তা। এছাড়া ৬৯ জন রিটার্নিং অফিসার সার্বিক তদারকির দায়িত্বে থাকবেন, যাদের মধ্যে জেলা প্রশাসক ও আঞ্চলিক কর্মকর্তারাও রয়েছেন।