বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে ২০২৬ সালের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ইসরাইল-ইরানের ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি, গাজায় ইসরাইলি হামলার আশঙ্কা, বাশার আল-আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ার নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ এবং সুদান ও ইয়েমেন নিয়ে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে নড়বড়ে করে তুলছে।
২০২৫ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের অবসান ঘটলেও যুদ্ধবিরতি এখনো অনিশ্চিত। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া ও ইসরাইলের হামলার প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। গাজায় অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরাইল ৭৩০ বারের বেশি তা লঙ্ঘন করেছে, যাতে ৪০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারারের সরকার স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করছে, যার সাফল্য উপসাগরীয়, তুর্কি ও ইউরোপীয় সমর্থনের ওপর নির্ভর করছে।
এদিকে, সুদান ও ইয়েমেনে বিপরীত পক্ষকে সমর্থন দেওয়ায় সৌদি-আমিরাত সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব সংঘাত ২০২৬ সালে উপসাগরীয় রাজনীতিতে নতুন বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র এই দুই মিত্রের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে।
২০২৬ সালে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ও উপসাগরীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছে