নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। তিনি ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছিলেন। বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের বেঞ্চ বুধবার রায় দেন। এর ফলে মান্না আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা মান্নার নেতৃত্বাধীন আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের কাছে ৩৮ কোটি টাকার বেশি ঋণ আদায়ে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করেছিল। নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটি খেলাপি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। আদালতের তিন দিনের ছুটির কারণে মান্না ২৮ ডিসেম্বরের আগে আপিল করতে পারবেন না, ফলে আপাতত তার অযোগ্যতা বহাল থাকবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায় প্রার্থীদের আর্থিক যোগ্যতা যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশনের কঠোর অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। ছুটি শেষে মান্না চেম্বার আদালতে আপিল করতে পারেন, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা এখন অনিশ্চিত।
ঋণ খেলাপির কারণে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না