বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়জুল আলম বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পার হলেও এখনো প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীরা অধরাই রয়ে গেছে। অথচ শত শত নির্দোষ বিডিআর সদস্য বছরের পর বছর কারাগারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের দায় শুধু বিডিআর সদস্যের ওপর দেওয়া হয়েছে, অথচ বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে এসেছে- কারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমরা চাই, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার করা হোক। এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে ১৮টি বিশেষ আদালত তৈরি করে ১৮ হাজার ৫১৯ জন বিডিআর সদস্যকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ৩৫০ জন বিডিআর সদস্যকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। কিছু লোকের জামিন দেওয়া হয়েছে, কিন্তু অদৃশ্য ইশারায় জামিন দিচ্ছেন না। কোর্টের মাধ্যমে জামিন দিতে হবে, নাহলে আমরা পুনরায় আন্দোলনে নামব। সভাপতি বলেন, একটি ভিডিওতে বলা হয়েছে, তৎকালীন বিডিআরের কর্মকর্তারা ২২ তারিখে পিলখানায় মিটিং করেছেন। আমরা জানতে চাই, কোনো কর্মকর্তাকে সেক্টর কমান্ডার ছুটি দিতে পারেন না। এটি স্পষ্ট করে দেখাচ্ছে যে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য সাহায্য করা হয়েছে। মিথ্যা বিদ্রোহের দায় দিয়ে যাদের চাকরি এবং জীবন ধ্বংস করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে পূর্ণ সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে বহাল করা হোক এবং যারা নির্দোষ, তাদেরকে দ্রুত জামিনে মুক্তি দিতে হবে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।