ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২–এ সোমবার তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন জবানবন্দিতে বলেন, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে হত্যার পর মরদেহের মিথ্যা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিতে এক চিকিৎসককে চাপ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এটি ছিল তার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য।
রুহুল আমিন জানান, রংপুর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি সারোয়াত হোসেন চন্দন বিপ্লবের সময় ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ওই মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরিতে চিকিৎসককে চাপ দেন। তিনি সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২৫তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। ছয়জন আসামি আদালতে হাজির থাকলেও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ময়নাতদন্ত জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তার