উত্তরাখণ্ডের দেহরাদুনে ত্রিপুরার ২৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অ্যাঞ্জেল চাকমা ‘চীনা সন্দেহে’ একদল যুবকের হামলায় নিহত হয়েছেন। গত ৯ ডিসেম্বর ছোট ভাইকে নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়ে বর্ণবিদ্বেষী গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় তাকে ছুরি মেরে গুরুতর আহত করা হয়। টানা ১৪ দিন ভেন্টিলেটরে থাকার পর তিনি মারা যান। নিহত অ্যাঞ্জেলের বাবা সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বিএসএফ সদস্য। এই হত্যাকাণ্ডে উত্তর-পূর্ব ভারতসহ দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে দুইজন নাবালক। তবে মূল অভিযুক্ত যজ্ঞ অবাস্থি এখনও পলাতক এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি নেপালে পালিয়েছেন। তার সন্ধান দিতে পারলে ২৫ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা হয়েছে।
ত্রিপুরা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছাত্র সংগঠনগুলো জাতিগত ঘৃণামূলক অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর জাতীয় আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে। তিপ্রা মোথা পার্টির প্রধান প্রদ্যুৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা বলেছেন, এটি শুধু একটি পরিবারের ক্ষতি নয়, বরং দেশের ঐক্যের ওপর বড় আঘাত।
দেহরাদুনে ত্রিপুরার শিক্ষার্থী খুন, পাঁচজন গ্রেপ্তার, মূল অভিযুক্ত পলাতক