চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর অভিবাসননীতি প্রণয়ন করেন, যার ফলে মাত্র এক বছরের মধ্যেই দেশজুড়ে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। লুইজিয়ানার নির্মাণ সংস্থাগুলো কাঠমিস্ত্রি পাচ্ছে না, পশ্চিম ভার্জিনিয়ার হাসপাতালগুলোতে বিদেশি চিকিৎসক ও নার্সের অভাব, আর টেনেসির মেমফিসে ফুটবল লিগে দল গঠন সম্ভব হচ্ছে না কারণ অভিবাসী শিশুরা আর আসছে না। প্রশাসন ভিসা ফি বাড়িয়েছে, আইনি প্রবেশপথ সংকুচিত করেছে এবং ইতোমধ্যে ছয় লাখেরও বেশি মানুষকে বহিষ্কার করেছে। বাইডেন প্রশাসনের অধীনে দেওয়া অস্থায়ী আইনি মর্যাদা প্রত্যাহারের ফলে আরও কয়েক লাখ মানুষ বহিষ্কারের ঝুঁকিতে রয়েছে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান নীতিতে বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ লোক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে, যা বাইডেন আমলের ২০ থেকে ৩০ লাখের তুলনায় অনেক কম। ২০২৪ সালে বিদেশি বংশোদ্ভূতদের হার ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ১৮৯০ সালের পর সর্বনিম্ন। লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউ ইয়র্কের মতো শহরগুলো এখন বিদেশি শিক্ষার্থীশূন্য ও নিস্তব্ধ।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আশঙ্কা করছেন, শ্রমিক সংকট আরও বাড়বে এবং নির্মাণ, নার্সিং হোম ও শিশু যত্ন খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরে শ্রমিক সংকট