ইরান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, আর্থিক প্রলোভন ও ইসরাইলি সমাজের মানসিক দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে দেশটিতে দ্রুত গুপ্তচর নেটওয়ার্ক বিস্তার করছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলের রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক চাপ ও সরকারের প্রতি অবিশ্বাস তেহরানের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ইসরাইলে ৩৯টি ইরান-সম্পর্কিত গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা শনাক্ত হয়েছে, যার ৩১টিতে ইসরাইলি নাগরিক জড়িত। টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ইরান সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন বা আর্থিক সংকটে থাকা ব্যক্তিদের টার্গেট করছে। সাবেক জ্বালানি মন্ত্রী গনেন সেগেভসহ কয়েকটি ঘটনা ইরানের গভীর অনুপ্রবেশের প্রমাণ দেয়। ২০২৪ সালে ইরান-সম্পর্কিত গুপ্তচরবৃত্তি ৪০০ শতাংশ বেড়েছে বলে গবেষকরা জানান। ইসরাইল আটক, সাইবার নজরদারি ও জনসচেতনতা প্রচারণার মাধ্যমে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে, তবে মানবিক দুর্বলতা এখনো ইরানের প্রধান লক্ষ্যবিন্দু রয়ে গেছে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।