ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সন্দেহ করা হচ্ছে, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট, যিনি বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন, এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। শনিবার দিনভর পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত চালিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ফয়সাল করিম মাসুদ নামে এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়। সন্দেহভাজনদের দেশত্যাগ রোধে বিমানবন্দর ও সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাব যৌথভাবে তথ্য সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। জামিনে থাকা সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরির কাজও চলছে।
ঘটনাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতাদের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং হামলার উদ্দেশ্য ও সংশ্লিষ্টদের শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।