বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজশাহী অঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র অনুপ্রবেশের তৎপরতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, কলকাতায় অবস্থানরত পলাতক রাজনৈতিক নেতা ও সন্ত্রাসীরা পদ্মা নদী ও রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তজুড়ে সক্রিয় একটি শক্তিশালী অস্ত্র পাচার সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে। অতীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী নেতা এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বর্তমানে তারা ভারতে পালিয়ে থেকে স্থানীয় সহযোগীদের মাধ্যমে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র প্রবেশ করছে। র্যাব-৫ ও বিজিবি সীমান্তে নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করেছে। সাম্প্রতিক অভিযানে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অধিকাংশ অস্ত্র ভারতের বিহারের মুঙ্গেরে তৈরি এবং সবজি ও ফলের চালান ব্যবহার করে পাচার করা হয়।
রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও সীমান্ত রুট ব্যবহারের কারণে এই অপরাধচক্র ভাঙা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা নির্বাচনি পরিবেশ রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাহী বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে রাজশাহী সীমান্তে অস্ত্র পাচার তৎপরতা বেড়েছে