বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) বাস্তবায়ন নিয়ে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে প্রায় ২০ হাজার মোবাইল ব্যবসায়ী এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করছেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ঘোষণা দিয়েছে, আগামীকাল থেকে অবৈধ বা নিবন্ধনবিহীন মোবাইল ফোন দেশে ব্যবহার করা যাবে না। সরকারের দাবি, এনইআইআর চালু হলে অবৈধ ফোন বাণিজ্য বন্ধ হবে, অপরাধ কমবে এবং বাজারে শৃঙ্খলা ফিরবে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, বিদেশ থেকে মাত্র ১৮টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল আমদানি করে এবং এনইআইআর বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই সিন্ডিকেট আরও শক্তিশালী হবে। তারা আশঙ্কা করছেন, প্রায় ৫০ লাখ ফোন অবৈধ হয়ে যাবে এবং প্রায় ২০ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বর্তমানে মোবাইল শিল্পে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ কর্মরত এবং সরকার বছরে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব পাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি যৌথভাবে শুল্কহার কমানো ও অনিবন্ধিত ব্যবসায়ীদের নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ হয়ে রাজস্ব বাড়বে, ভোক্তা সুরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার হবে, তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক নীতিমালা জরুরি।
অবৈধ ফোন বন্ধে এনইআইআর চালু, বিক্ষোভে উত্তাল মোবাইল ব্যবসায়ীরা