ফজলুর রহমান বলেছেন, আপনাদের কী মনে হয়, আমি ফজু পাগলা? আসলে আমাকে পাগল উপাধি দিয়ে রাজাকারেরা বাঁচতে চায়। ফজলু বলেন, যখন দেখছি মুক্তিযুদ্ধ রাখবে না, ৩০ লাখ মানুষের রক্ত এ দেশে বৃথা যাবে, তখন আমি মনে করেছি, না আমি ছাড়বো না। আমার সঙ্গে যুক্তিতে পারে না, তখন কিছু মাওলানা আজহারি, আমির হামজা, আহমাদুল্লাহ তারা বলা শুরু করলো- ও তো পাগল, ও তো ফজু পাগলা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হলো, দেশ স্বাধীন হলো, কিন্তু জামায়াতে ইসলাম বলে এটা ছিল ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব। আর এই দ্বন্দ্ব নাকি ভারত লাগিয়েছিল। আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আমরণ বলে যাব। যেদিন পত্রিকায় জামায়াত লিখলো, এই দেশে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই, বললো মুক্তিযুদ্ধ রাখবে না, যারা যুদ্ধ করেছে তারা বেশিরভাগ নাকি হিন্দু, ইন্ডিয়া থেকে এসে যুদ্ধ করেছে। অস্ত্র নিয়ে যারা যুদ্ধ করেছো, তারা আল্লাহর কাছে মাফ চাও। সেদিন আমি বলেছি, এই আল-বদরের বাচ্চারা, রাজাকারের বাচ্চারা এখনো আমি জীবিত আছি। ফজলু জামায়াতের আমিরকে বলেন, আপনার বাড়ি তো সিলেট। সিলেটে ১৯টি আসন আছে। কোন আসনে দাঁড়াবেন বলেন। আমি আমার দল থেকে সেই আসনে দাঁড়াব। ১৯টির মধ্যে একটা আসনেও যদি পাশ করতে পারেন, তাহলে ভাববো আপনারা বাপের বেটা। তিনি বলেন, আমি ধর্ম বিদ্বেষী নই, জামায়াত বিদ্বেষী। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চাই।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।