রাজধানীর মোহাম্মদপুরে লায়লা আফরোজ ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ৮ ডিসেম্বর শাহজাহান রোডের বাসা থেকে মা-মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গৃহকর্মী আয়শাকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, তবে হত্যার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, লায়লা আফরোজের শরীরে ৩০টির বেশি আঘাতের চিহ্ন এবং নাফিসার গলায় গভীর ক্ষত রয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান জানান, হত্যার ধরন দেখে ধারণা করা হচ্ছে ঘাতক একজন প্রশিক্ষিত খুনি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যার আগে ও পরে সন্দেহভাজনের গতিবিধি যাচাই করা হচ্ছে।
ঘাতক হত্যার পর বাথরুমে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করে মেয়ের স্কুল ড্রেস পরে বেরিয়ে যায় বলে ধারণা করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা দ্রুত আসামিকে গ্রেফতার ও হত্যার নেপথ্যের কারণ উদঘাটনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ঘটনাটি গৃহকর্মী নিয়োগে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।