‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো তাইওয়ানকে ঘিরে লাইভ-ফায়ার সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। বেইজিং জানিয়েছে, এই দুই দিনের মহড়ায় কিলুং ও কাওশিয়ুংসহ তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর অবরোধের অনুশীলন এবং সামুদ্রিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সিমুলেশন করা হয়েছে। পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) জানায়, এতে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে এবং উত্তর ও দক্ষিণ জলসীমায় সমুদ্র-আকাশ সমন্বয় ও অবরোধ সক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে। তাইওয়ান এই পদক্ষেপকে সামরিক ভীতি প্রদর্শন হিসেবে আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এই মহড়া এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে বড় পরিসরে অস্ত্র বিক্রি করেছে এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলপ্রয়োগ হলে সামরিক প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, বহিরাগত শক্তি তাইপেকে অস্ত্র সহায়তা দিলে তাইওয়ান প্রণালী দ্রুত সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে পরিণত হতে পারে। পিএলএ মুখপাত্র শি ই বলেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ান স্বাধীনতা’পন্থী শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বীপটির আশপাশে ১৩০টি চীনা সামরিক বিমান ও ১৪টি নৌযান শনাক্ত করা হয়েছে, যা চীনের আগ্রাসী মনোভাবকে আরও স্পষ্ট করেছে।
তাইওয়ান ঘিরে চীনের দ্বিতীয় দিনের লাইভ-ফায়ার মহড়া, উত্তেজনা বৃদ্ধি