চলমান গৃহযুদ্ধ ও বৈধতা নিয়ে সন্দেহের মধ্যেই মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে সেনাবাহিনী নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর এটিই প্রথম জাতীয় নির্বাচন। জান্তা সরকার বলছে, এই ভোট দেশের রাজনীতি ও দীর্ঘদিনের অস্থিতিশীল অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করবে।
তবে জাতিসংঘ, পশ্চিমা সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই নির্বাচন অবাধ বা বিশ্বাসযোগ্য নয়, কারণ এতে জান্তা-বিরোধী দলগুলো অংশ নিচ্ছে না। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের দল সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) অংশ নিচ্ছে, কিন্তু অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলটি সামরিক সরকার বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
তিন ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে—প্রথম ধাপ চলছে, পরের দুটি ধাপ ১১ ও ২৫ জানুয়ারি। ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোটের পরিকল্পনা থাকলেও সব এলাকায় জান্তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচন সামরিক শাসন দীর্ঘায়িত করার কৌশল হতে পারে।
গৃহযুদ্ধ ও বৈধতা সংকটের মধ্যেই মিয়ানমারে প্রথম জাতীয় নির্বাচন শুরু