চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় ভাঙনরোধ, বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণ ও ঢাল সংরক্ষণের জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ছয়টি প্যাকেজে বিভক্ত এই প্রকল্পে ছনুয়া, খানখানাবাদ ও সাধনপুর এলাকায় কাজ চলছে। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবাধীন সিন্ডিকেটগুলো প্রকল্পের কাজ ভাগ করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঠিকাদাররা নিম্নমানের বালু, ময়লাযুক্ত পাথর ও লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে সিসি ব্লক তৈরি করছে, যা বাঁধের স্থায়িত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেটি বালুর পরিবর্তে স্থানীয় বেতাগী বালু ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ভাইব্রেটর মেশিন ছাড়াই ব্লক তৈরি হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসব নিম্নমানের ব্লক বসানোর সময় ভেঙে যাচ্ছে। পাউবো কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লবণাক্ত পানি ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে মিষ্টি পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২৮ মে একনেকে অনুমোদিত এই প্রকল্পটি ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
রাজনৈতিক অন্তর্কোন্দল ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে কিছু এলাকায় কাজের অগ্রগতি ধীরগতির, ফলে উপকূলীয় জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বাঁশখালীর ৫০০ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ প্রকল্পে দুর্নীতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ