তাজিকিস্তান এই মাসে আফগানিস্তানের সীমান্তে একাধিক সশস্ত্র অনুপ্রবেশের ঘটনা জানিয়েছে, যা তালেবান সরকারের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। দুশানবে কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব হামলায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দূরবর্তী এলাকায় কর্মরত চীনা নাগরিকও রয়েছেন। সর্বশেষ সংঘর্ষে শামসিদ্দিন শোহিন জেলায় আফগানিস্তানের বাদাখশন প্রদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে পাঁচজন নিহত হয়। তাজিক কর্তৃপক্ষ হামলাকারীদের সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করে এবং তালেবানকে নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তোলে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাজিকিস্তানে চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর দুটি হামলায় অন্তত পাঁচজন চীনা কর্মী নিহত হন। তাজিকিস্তানের বৃহত্তম ঋণদাতা বেইজিং সীমান্ত এলাকা থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয় এবং নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানায়। বিশ্লেষকদের মতে, এসব হামলায় আইএসআইএল-সংযুক্ত খোরাসান প্রদেশ শাখার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে, যারা তালেবান সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা দুর্বল করতে চায়। তালেবান এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে, এক অজ্ঞাত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে এবং ২০২০ সালের দোহা চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
২০২৩ সাল থেকে সীমিত কূটনৈতিক যোগাযোগ থাকা সত্ত্বেও তাজিকিস্তান মধ্য এশিয়ায় তালেবানের অন্যতম কড়া সমালোচক। সাম্প্রতিক সহিংসতা দুই দেশের সম্পর্ক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।