কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে এক অটোচালককে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ১৩ অক্টোবর সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি পার্শ্ববর্তী সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, যেখানে দেখা যায়—অটোচালক জাফর আলমকে পানি আনতে পাঠিয়ে এক পুলিশ সদস্য তার অটোর পেছনে অস্ত্র রেখে যায়। পরে অন্য পুলিশ সদস্যরা এসে জাফরকে আটক করে এবং তার হাতে অস্ত্র ধরিয়ে ছবি তোলে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিতর্কিত এসআই বদিউল আলম ও দুই কনস্টেবল।
জাফরের পরিবার জানায়, স্থানীয় বখাটেদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং মামলা করার জের ধরে প্রতিশোধ নিতে পুলিশ এ ষড়যন্ত্র করে। তার স্ত্রী অভিযোগ করেন, দুই লাখ টাকা নিয়ে পুলিশ তাকে ফাঁসিয়েছে। মেয়ে লীজা মনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে বখাটেদের হয়রানির শিকার। স্থানীয়রা বলেন, প্রভাবশালী যুবকরা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস সিসিটিভি দেখে নিশ্চিত হয়েছেন যে জাফরকে ফাঁসানো হয়েছে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এসআই বদিউল আলমের বিরুদ্ধে এর আগেও খুন, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল, তবে প্রমাণের অভাবে তিনি বারবার রক্ষা পেয়েছেন। এবার সিসিটিভি প্রমাণে তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।