দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় কৃষি সম্পত্তির তথ্য গোপন করেছিলেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনা ৫.২ একর জমির তথ্য দিলেও দুদকের অনুসন্ধানে ২৯ একর জমির তথ্য পাওয়া যায়। তবে সে সময় মনোনয়ন বাতিলের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। রবিবার সিলেটে দুদকের গণশুনানিতে তিনি বলেন, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি সম্পদের হিসাব দিতে হবে, না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই অনুষ্ঠানে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরিয়ান শেখর দাসকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্তের নির্দেশ দেন তিনি। গণশুনানিতে ৭৩টি অভিযোগ ওঠে, যার মধ্যে পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ, গ্যাস সংযোগে অনিয়ম ও হাসপাতালের টিকিটে অতিরিক্ত মূল্য উল্লেখযোগ্য। দুদক চেয়ারম্যান স্বীকার করেন, সংস্থার ভেতরেও দুর্নীতি আছে এবং গণমাধ্যমকে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচনে আহ্বান জানান।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।