জুলাই ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ এখন এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই গণঅভ্যুত্থান জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা জাগিয়েছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কমিশন নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত পরিবর্তন আনলেও স্বাধীন ডিলিমিটেশন কমিশন ও রিকল ভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উপেক্ষিত হয়েছে।
দীর্ঘ দলীয়করণ ও দুর্নীতির কারণে জনগণের আস্থা এখনো নড়বড়ে। নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব, প্রশাসনের পক্ষপাত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজনৈতিক সহিংসতার আশঙ্কা বাড়ছে। ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলা নির্বাচনি সহিংসতার আশঙ্কাকে আরও গভীর করেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ভুয়া তথ্যের বিস্তারও নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য শুধু একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যথেষ্ট নয়। বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন, নারীর অংশগ্রহণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করলেই জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হতে পারে।