রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় টানা পাঁচ দিন ধরে চলমান শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা ও সূর্যের অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ—দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও অটোরিকশাচালকরা, যাদের অনেকেই ঠান্ডার কারণে কাজে যেতে পারছেন না।
ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় চারপাশ ঝাপসা থাকায় সড়কপথে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এতে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে অনেক শ্রমজীবী মানুষ কাঁপতে কাঁপতে দিন পার করছেন, ফলে তাদের দৈনিক আয় কমে গেছে এবং সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় তারাগঞ্জ বাজারে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেক দরিদ্র মানুষ প্রয়োজনীয় কাপড় কিনতে পারছেন না। সন্ধ্যার পর ঠান্ডা আরও বাড়ায় অসহায় মানুষজন রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন। শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যের ওপরও শীতের বিরূপ প্রভাব পড়ছে।