বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের এক মুসলিম নারী চিকিৎসকের হিজাব টেনে খোলার ঘটনা ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান রাষ্ট্রীয় ইসলামবিদ্বেষের নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে অন্তত ৭০–৮০ জন মুসলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন বলে স্বাধীন সংস্থাগুলোর তথ্য জানায়। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) ধর্মভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ না করায় প্রকৃত চিত্র আড়ালেই রয়ে গেছে।
মানবাধিকার সংগঠন ও বিশ্লেষকদের মতে, এসব সহিংসতা বিচ্ছিন্ন নয়; বরং প্রশাসনিক পক্ষপাত, রাজনৈতিক আশ্রয় ও বিচারহীনতার ফল। গুজব, ‘লাভ জিহাদ’ তত্ত্ব, ধর্মীয় শোভাযাত্রা ও উসকানিমূলক বক্তব্য এসব ঘটনার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডা. মুজ্জাম্মিল ঠাকুর ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ডা. আশরাফুজ্জামান বলেন, বিজেপি ও আরএসএসের নীতিগত প্রভাব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ধর্মভিত্তিক সহিংসতার প্রকৃত তথ্য প্রকাশ ও বিচার নিশ্চিত না হলে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো আরও দুর্বল হবে এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি আস্থা ভেঙে পড়বে।