প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি পাওয়ার দুই মাস পরও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় সারা দেশের মাধ্যমিক শিক্ষক সমাজে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে দুটি পৃথক অধিদপ্তরে ভাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিল—একটি মাধ্যমিক ও অন্যটি কলেজ শিক্ষার জন্য। শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন, বর্তমান একীভূত কাঠামোতে কলেজ শিক্ষকদের তুলনায় মাধ্যমিক শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি ও আর্থিক সুবিধায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তারা এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণ ও চার স্তরীয় পদোন্নতি কাঠামো বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত থাকলেও দ্রুত প্রজ্ঞাপন না হলে আবারও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন হলে প্রশাসনিক জটিলতা কমবে, শিক্ষক বৈষম্য হ্রাস পাবে এবং মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।