প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন এই আইনে পরিবারের বাইরের ঘনিষ্ঠ বা আবেগগতভাবে যুক্ত ব্যক্তিরাও নিঃস্বার্থভাবে কিডনি সহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে পারবেন। আগে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের অঙ্গদান করার অনুমতি থাকায় অনেক রোগীকে বিদেশে গিয়ে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিতে হতো, এমনকি অনেক সময় অনৈতিকভাবে অঙ্গ সংগ্রহের ঘটনাও ঘটত। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, নতুন এই আইন সেই জটিলতা দূর করবে এবং দেশে বৈধ ও নৈতিকভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুযোগ তৈরি করবে। তিনি বলেন, এতে চিকিৎসা ব্যয় কমবে, বিদেশমুখিতা হ্রাস পাবে এবং মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়া বৈঠকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশ’ও অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে গণহত্যার অভিযোগে বিচারাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনকে জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হবে এবং দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে এর শাখা জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।