বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে খুলনায় রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। জেলার ছয়টি আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। বছরের শুরুতেই জামায়াত সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে গণসংযোগ শুরু করেছে, অন্যদিকে বিএনপির একাধিক প্রার্থী নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এখনো থামেনি। ৩ নভেম্বর পাঁচটি আসনে মনোনয়ন ঘোষণা হলেও ক্ষোভ ও অসন্তোষ রয়ে গেছে, যদিও প্রকাশ্যে বড় কোনো বিরোধ দেখা যায়নি।
জামায়াত তুলনামূলকভাবে সংগঠিত অবস্থানে রয়েছে, যদিও আট ইসলামপন্থি দল নিয়ে নতুন জোট গঠনের ফলে আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খুলনা-১ আসনে সনাতন ধর্মাবলম্বী কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী করে দলটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির বার্তা দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি খুলনা-২ ও খুলনা-৫ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্থানীয় অসন্তোষ সামলাতে ব্যস্ত।
পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে খুলনায় জামায়াত বর্তমানে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে, আর বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভাজন সমাধান না হলে তা নির্বাচনী ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে।