Web Analytics

কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি পরীক্ষার সময় দুই ছাত্রী হিজাব পরার কারণে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংরেজি বিভাগের প্রধান শাশ্বতী হালদার এক ছাত্রীকে ভরা ক্লাসে হিজাব খুলতে বলেন, যদিও তিনি কোনো নিষিদ্ধ জিনিস আনেননি বলে জানান। পরে তাকে আলাদা কক্ষে নিয়ে তল্লাশি করা হয়, কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। অন্য এক হিজাবধারী ছাত্রীকেও একইভাবে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি করা হয় এবং অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা হয়। ভুক্তভোগীরা জানান, এ কারণে তাদের ১৫–২০ মিনিট পরীক্ষার সময় নষ্ট হয়েছে।

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কনভোকেশনে ‘মাই বডি মাই চয়েস’ ও ‘সে নো টু ইসলামোফোবিয়া’ লেখা পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং উপাচার্যের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন। তারা অভিযোগ করেন, হুডি ও কোট পরা অন্য শিক্ষার্থীদের না দেখে শুধু হিজাবধারী দুই ছাত্রীকে আলাদা করে তল্লাশি করা হয়েছে, যা মুসলিম পরিচয়কে লক্ষ্য করে বৈষম্যমূলক আচরণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ইসলামোফোবিয়া বাড়ছে এবং এটি ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতো উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বিহারের এক সাম্প্রতিক ঘটনারও উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে এক মন্ত্রী প্রকাশ্যে এক তরুণীর হিজাব টেনে খুলে দেন, যা ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

Card image

Related Threads

logo
No data found yet!