সুদানের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর এখন মৃত্যুর উপত্যকা। গত সপ্তাহে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) শহরটি দখল করার পর অন্তত ১,৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে। রাস্তায় শত শত লাশ পড়ে আছে, দাফনের কেউ নেই। বেঁচে যাওয়া লোকজন জানিয়েছেন, আরএসএফ সদস্যরা লুটপাট চালিয়েছে এবং সাধারণ মানুষ, এমনকি শিশুদেরও হত্যা করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, শহরে আটকে থাকা বাসিন্দারা মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন, আহতদের কেউ সেবা দিতে পারছে না। প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ তাভিলা শহরে পালিয়েছে, যেখানে আগেই ৬ লাখ ৫০ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে এল-ফাশের এখন চরম বিপর্যস্ত। জাতিসংঘ জরুরি সহায়তা তহবিল থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এখনো অপর্যাপ্ত। মানবিক সংগঠনগুলো একে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট বলে উল্লেখ করেছে।
সুদানের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর এখন মৃত্যুর উপত্যকা। গত সপ্তাহে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) শহরটি দখল করার পর অন্তত ১,৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে
পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে রাজউকের প্লট দুর্নীতি মামলার রায় এখন অনিশ্চিত। গত ২৯ অক্টোবর রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম হঠাৎ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তার এই আত্মসমর্পণ বিচার প্রক্রিয়ায় নতুন জটিলতা সৃষ্টি করেছে। আইনের ধারা ৫৪০ (দণ্ডবিধি) ও সাক্ষ্য আইন ১৩৮ অনুযায়ী তিনি সাক্ষী পুনরায় হাজিরের আবেদন করতে পারেন, যা মামলার গতি মন্থর করতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুদকের আইনজীবীরা মনে করছেন, এটি রায় বিলম্বিত করার কৌশলের অংশ হতে পারে, যদিও তারা নিশ্চিত করেছেন যে বিচার অব্যাহত থাকবে। এর আগে মামলাগুলোর সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছিল এবং নভেম্বরে রায় ঘোষণার সম্ভাবনা ছিল। শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ—গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতি। আদালত খুরশীদ আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
রাজউকের সাবেক সদস্য খুরশীদ আলমের আত্মসমর্পণে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে
ইসরায়েলের সামরিক আইন বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল ইফ্রাত টোমার-ইয়েরুশালমি ৩১ অক্টোবর পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের কারণ হলো একটি ভিডিও ফাঁস হওয়া, যাতে ইসরায়েলি সেনাদের ফিলিস্তিনি এক বন্দিকে নির্যাতন করতে দেখা গেছে। টোমার-ইয়েরুশালমি স্বীকার করেছেন যে ২০২৪ সালের আগস্টে ভিডিও প্রকাশের অনুমতি তিনি দিয়েছিলেন। ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর পাঁচজন সেনার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ডানপন্থী রাজনীতিকরা তদন্তের সমালোচনা করেন এবং তদন্তকারীরা সেনা ঘাঁটিতে প্রবেশ করলে বিক্ষোভকারীরা দুটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এন-১২ নিউজে প্রকাশিত নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন সেনা বন্দিকে পাশে নিয়ে যাচ্ছেন, চারপাশে সশস্ত্র সৈন্যরা অবস্থান করছেন। তবে ভেতরে কী ঘটছে তা স্পষ্ট নয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, ফৌজদারি তদন্ত চলছে এবং টোমার-ইয়েরুশালমিকে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি আইনবিরুদ্ধ কাজ করেননি, বরং সেনাবাহিনীর আইন বিভাগের সুনাম রক্ষা করতে চেষ্টা করেছিলেন, যা চলমান যুদ্ধে ভিত্তিহীন অপপ্রচারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল।
ইসরায়েলের সামরিক আইন বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল ইফ্রাত টোমার-ইয়েরুশালমি ৩১ অক্টোবর পদত্যাগ করেছেন
অজিত দোভাল, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক সরকারের পতনের মূল কারণ হিসেবে দুর্বল শাসন কাঠামোকে চিহ্নিত করেছেন। জাতীয় ঐক্য দিবসে তিনি বলেন, কার্যকর শাসন ব্যবস্থা রাষ্ট্র গঠন, জনগণের আস্থা বজায় রাখা এবং সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দোভাল উল্লেখ করেন যে বর্তমান সময়ে মানুষ আরও সচেতন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তাই সরকারের উচিত নাগরিক সন্তুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনিক সংস্কারের প্রশংসা করে বলেন, ভারত এখন শাসন ও বৈশ্বিক অবস্থানের নতুন পথে প্রবেশ করছে। ভালো শাসনের মূল উপাদান হিসেবে তিনি নারীর সুরক্ষা, সমতা, ক্ষমতায়ন এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের ওপর জোর দেন।
অজিত দোভাল, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক সরকারের পতনের মূল কারণ হিসেবে দুর্বল শাসন কাঠামোকে চিহ্নিত করেছেন
ফরিদপুরে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সমন্বয় সভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, ইসির অহংকার এবং একটি বিশেষ দলের প্রভাবের কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। তিনি শাপলাকে ডুবে যাওয়া নৌকার বিকল্প প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন এবং আওয়ামী লীগের পর দেশকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে এমন অভিযোগে জাতীয় পার্টিকে সমালোচনা করেন। তুষার বলেন, জাতীয় পার্টির ব্যানারে নতুন কোনো আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চললেও তা জনগণ মেনে নেবে না। জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি দিতে অবিলম্বে গণভোটের দাবি জানান। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি সতর্ক করে বলেন, জুলাই সনদের বিরোধিতা করলে জনগণ তাদেরকে প্রতিরোধ করবে। সভায় ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকশ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
ফরিদপুরে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সমন্বয় সভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, ইসির অহংকার এবং একটি বিশেষ দলের প্রভাবের কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না
ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি উপেক্ষা করে গাজা অঞ্চলে হত্যাকারী অভিযান চালিয়ে উত্তর, পূর্ব ও মধ্য গাজায় ৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। মাহমুদ সুলেমান আল-ওয়াদিয়া ও অন্যান্যরা নিহত হয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন অনেকেই, যার মধ্যে নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে সাম্প্রতিক হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনি আহত হয়ে প্রাণ হারান। একই সময়, অধিকৃত পশ্চিম তীরের সিলওয়াদে ইসরাইলি বাহিনী ১৫ বছর বয়সি ইয়ামেন সামেদ ইউসুফ হামেদকে গুলি করে হত্যা করে এবং অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতে বাধা দেয়। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী ও বসতিপ্রণেতারা হামলা বৃদ্ধি করেছে, যেখানে ১,০৬২ ফিলিস্তিনি নিহত, প্রায় ১০,০০০ আহত এবং ২০,০০০ আটক, যার মধ্যে ১,৬০০ শিশু। মানবিক সংগঠনগুলো হিংসা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি উপেক্ষা করে গাজা অঞ্চলে হত্যাকারী অভিযান চালিয়ে উত্তর, পূর্ব ও মধ্য গাজায় ৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে
শনিবার (১ নভেম্বর) লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি ও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অপরিহার্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যেখানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে মিলেমিশে বসবাস করছে। আমাদের দেশে সংঘাত দেখা দিলেও তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক নয়। খালিদ হোসেন বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একসঙ্গে লড়াই করেছে। সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, এবং সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, কোনো দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে সেখানে বিনিয়োগ বা পর্যটন কখনও বাড়বে না, উন্নয়ন থেমে যাবে। লালমনিরহাটকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উর্বর ভূমি আখ্যা দিয়ে তিনি সকলকে মাদক, কিশোর গ্যাংসহ সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহ্বান জানান। মহানবী (সা.)-এর মানবিক যুদ্ধনীতি উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ইসলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সর্বোচ্চ উদাহরণ স্থাপন করেছে।
লালমনিরহাটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও জাতীয় উন্নয়নের আহ্বান জানাচ্ছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন
ভোলায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে শহরের নতুন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকেই দুই দলের অফিসের সামনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলছিল। দুপুরে জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা নতুন বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে এবং বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে ফিরে আসে। অপরদিকে, মহাজনপট্টিতে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নতুন বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। পৌর ভবনের সামনে এসে দুই পক্ষের মুখোমুখি হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। সংঘর্ষের পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে পুনরায় সহিংসতা না ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকে জেলা বিএনপি ও জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি চলছিল
নীলনদের তীরে এক সময়ের সভ্যতার摇 cradle এখন পরিণত হয়েছে ধ্বংসের মরুভূমিতে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সুদানের যুদ্ধ আজ মানব ইতিহাসের ভয়াবহতম মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক গোষ্ঠী আরএসএফ-এর ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এক কোটি মানুষ গৃহহীন, শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত, আর ক্ষুধা হয়ে উঠেছে নতুন অস্ত্র। জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, হাসপাতালগুলো বোমায় ধ্বংস হচ্ছে, ডাক্তাররা রোগীদের পাশে মারা যাচ্ছেন। উত্তর দারফুরে আরএসএফ বাহিনীর হামলায় একদিনে ৪০ শরণার্থী নিহত হন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে দারফুরের হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা ও জাতিগত নিধন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। খাদ্য, পানি, ও ত্রাণ আটকে দিয়ে এক পরিকল্পিত মানববিরোধী যুদ্ধ চলছে। কিন্তু বিশ্ব নীরব। জাতিসংঘের সভা, কূটনৈতিক বিবৃতি—সবকিছুই যেন মৃতদেহের ওপর লেখা হচ্ছে। এই যুদ্ধ কেবল বন্দুকের নয়, এটি মানবতার নীরব মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি। সুদান এখন মানব সভ্যতার আয়না—যেখানে আমরা নিজেরাই নিজেদের নিষ্ঠুর মুখ দেখতে পাচ্ছি। যদি এই নরক থামানো না যায়, শুধু সুদান নয়, সমগ্র পৃথিবীও তার মানবতা হারাবে।
সুদানে সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। ছবি: আল জাজিরা
বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ২৯ অক্টোবর গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ‘জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি’ বাতিল করার পর। ফোরামের দাবি, এই কমিটি অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু শীর্ষ উপদেষ্টা ও কর্মকর্তার দ্বারা অবৈধভাবে গঠিত হয়েছিল, যারা ‘রুলস অব বিজনেস’ লঙ্ঘন করে সরকারকে বিভ্রান্ত করেছে এবং প্রশাসনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। ফোরাম অভিযোগ করেছে, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অনুসারী কর্মকর্তাদের সচিবসহ উচ্চ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রশাসনের ভারসাম্য ক্ষুণ্ন করেছে এবং জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছে। কমিটি বাতিল হওয়া স্বাগত জানালেও, ফোরাম বলেছে যে তাদের দাবি শুধুমাত্র কমিটি বাতিল নয়। তারা গত এক বছরে প্রশাসনকে অকার্যকর ও বিশৃঙ্খল করতে যুক্ত সকল উপদেষ্টা ও কর্মকর্তার, এবং যাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে, তাদের হাইকোর্ট ডিভিশনের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত করে দোষীদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ২৯ অক্টোবর গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ‘জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি’ বাতিল করার পর
মিয়ানমারের থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অংশ টাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ঘোষণা করেছে যে তারা মান্দালয়ের মোগক এবং শান রাজ্যের মোমেইক শহর থেকে নিজেদের সদস্যদের সরাবে। চীনের কুনমিংয়ে কয়েক দিনের আলোচনার পর চুক্তি হয়, যা আগামী বুধবার থেকে উভয় পক্ষের অগ্রগতি বন্ধ রাখবে এবং জান্তা বাহিনী বিমান হামলা স্থগিত রাখবে। টিএনএলএ, যারা ১২টি শহর নিয়ন্ত্রণ করছে এবং দীর্ঘদিন ধরে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে আসছে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক প্রতিরোধ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো দখল করার পর সেনাবাহিনী প্রধান শহরগুলো পুনরায় নিয়ন্ত্রণ করেছে। চীন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ভোটে বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে।
মিয়ানমারের থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অংশ টাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ঘোষণা করেছে যে তারা মান্দালয়ের মোগক এবং শান রাজ্যের মোমেইক শহর থেকে নিজেদের সদস্যদের সরাবে
১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন সিদ্ধান্ত—একজন ব্যক্তি তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০টি সক্রিয় সিম রাখতে পারবেন। আজ থেকেই মোবাইল অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেছে। এর আগে একজন নাগরিক সর্বাধিক ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। জুলাই মাসে বিটিআরসি এই নীতির ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছিল, ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। সংস্থাটি বলেছে, সিম ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনা ও প্রতারণা রোধই এর উদ্দেশ্য। গ্রাহকরা *১৬০০২# ডায়াল করে বা অনলাইনে তাদের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা যাচাই করতে পারবেন। দেশে বর্তমানে মোট সক্রিয় সিম সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি ৬২ লাখ হলেও প্রকৃত ব্যবহারকারী মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে এবং মাত্র ৩ শতাংশের নামে ১০টির বেশি সিম। ‘দৈবচয়ন’ নীতিতে সিম বন্ধ করা হবে, ফলে গুরুত্বপূর্ণ সিমও নিষ্ক্রিয় হতে পারে।
বিটিআরসি সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৩০ অক্টোবরের পর অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করা হবে
২০২৫ সালের হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে ভারতের অবস্থান আরও নিচে নেমে ৮৫তম স্থানে এসেছে—গত বছরের তুলনায় পাঁচ ধাপ নিচে। যদিও ২০১৫ সালে ভারতের ভিসা-মুক্ত গন্তব্য ছিল ৫২টি এবং ২০২৫ সালে তা বেড়ে ৫৭টিতে পৌঁছেছে, তবুও অবস্থান অপরিবর্তিত থেকেছে। রুয়ান্ডা, ঘানা ও আজারবাইজানের মতো ছোট অর্থনীতির দেশগুলিও এখন ভারতের ওপরে অবস্থান করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ প্রতিযোগিতার তীব্রতা এবং দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত ভিসা-সহযোগিতা বৃদ্ধি। হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স জানিয়েছে, ২০০৬ সালে গড় ভিসা-মুক্ত গন্তব্য ছিল ৫৮টি, যা ২০২৫ সালে বেড়ে ১০৯টিতে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত অচল মালহোত্রা বলেন, পাসপোর্টের শক্তি কেবল ভিসা সুবিধায় নয়, বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ও আন্তর্জাতিক আস্থার ওপরও নির্ভর করে। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৮০-এর দশকের খালিস্তান আন্দোলন ভারতের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এছাড়া ভিসা মেয়াদ শেষে বিদেশে থেকে যাওয়া অভিবাসী এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির মতো ঘটনাও ভারতের সুনাম কমিয়েছে। ২০২৪ সালে দিল্লি পুলিশ এ সংক্রান্ত ২০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধীরগতি ভিসা প্রক্রিয়াও ভারতের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি দুর্বল করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুয়ান্ডা, ঘানা ও আজারবাইজানের মতো ছোট অর্থনীতির দেশগুলোর অবস্থান ভারতের ওপরে
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত স্বাক্ষর করল ১০ বছরের ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি, যা বাণিজ্য চুক্তির আগেই সম্পন্ন হয়েছে। মালয়েশিয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মার্কিন যুদ্ধ সচিব পিট হেগসেথের উপস্থিতিতে এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা, তথ্য বিনিময় এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করাই এই চুক্তির মূল লক্ষ্য। চুক্তি স্বাক্ষরের পর হেগসেথ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আলোচনায় জিই অ্যারোস্পেসের এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহে বিলম্ব এবং তার ফলে তেজস যুদ্ধবিমান উৎপাদনে সমস্যার প্রসঙ্গ উঠে আসে। রাজনাথ সিং দ্রুত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ও জিই অ্যারোস্পেসের যৌথভাবে এফ৪১৪ ইঞ্জিন উৎপাদনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করার আহ্বান জানান। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পে আত্মনির্ভরতা বাড়াবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমাবে। চীনকে ঘিরে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যেই এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত বোঝাপড়াকে আরও গভীর করেছে। এটি ২০২৫ সালে মোদি-ট্রাম্পের যৌথ বিবৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি অগ্রগতি।
বাণিজ্য চুক্তির আগেই প্রতিরক্ষা চুক্তি করল যুক্তরাষ্ট্র-ভারত
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) গণসংহতি আন্দোলনের সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন এবং বলেন, এখন যা হওয়ার হয়ে গেছে, তাই সরকারের উচিত দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধান করা। তিনি বলেন, সংকট দীর্ঘায়িত না করে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে সবাই একসঙ্গে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে। মির্জা ফখরুল আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের মানুষ অতীতের মতো এবারও সংকট কাটিয়ে উঠবে, কারণ তারা কখনও পরাজয় মেনে নেয়নি। তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মত ও দলীয় পার্থক্য থাকলেও দেশের স্বার্থই সবার আগে হওয়া উচিত। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, অতীতেও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করেছে বিএনপি, ভবিষ্যতেও করবে, তবে সরকারকে নিজেদের সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করতে হবে যাতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় স্থিতিশীলতা ও আস্থা ফিরে আসে।
সংলাপ ও ঐক্যের মাধ্যমে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সরকারের প্রতি আহ্বান মির্জা ফখরুলের
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে টানা পাঁচ দিনের বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়, যা সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত সংঘাতে রূপ নেয়। পাকিস্তান অভিযোগ করে যে আফগান তালেবানরা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে; তবে কাবুল সরকার তা অস্বীকার করেছে। গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের বিমান হামলায় কাবুলে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদসহ কয়েকজন নিহত হন। এর জবাবে আফগান বাহিনী পাকিস্তানের সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালায়, যা উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই সৃষ্টি করে। এতে ২০০ জনের বেশি আফগান সেনা ও ২৩ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। ১৫ অক্টোবর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির পর নতুন করে আলোচনায় বসে দুই দেশ। দোহা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে ইস্তাম্বুলে হওয়া বৈঠকে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করে কাতার ও তুরস্ক। অবশেষে ৩০ অক্টোবর দুই দেশ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে রাজি হয় এবং ৬ নভেম্বর নতুন বৈঠকে শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৬০ বছর বয়সী ইসলামিক ধর্মপ্রচারক ডা. জাকির নায়েক, যিনি ভারতের হেট স্পিচ ও অর্থপাচারের মামলার আসামি, নভেম্বর ২৮–২৯ তারিখে ঢাকায় একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানটি স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আয়োজিত হবে এবং সম্ভবত আগারগাঁও এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৬ সালে স্থায়ীভাবে মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে যাওয়া নায়েক বহুবার বলেছেন যে তিনি ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা ছাড়া ভারতে ফিরে যাবেন না। ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান হামলার পর বাংলাদেশ তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়ে গেছে, যার ফলে এবার তার ঢাকায় আসা সম্ভব হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে অনুরোধ করা হয়েছে যে, তিনি ঢাকায় আসলে তাকে হস্তান্তর করা হোক। তার ভ্রমণ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নজর কেড়েছে।
৬০ বছর বয়সী ইসলামিক ধর্মপ্রচারক ডা. জাকির নায়েক, যিনি ভারতের হেট স্পিচ ও অর্থপাচারের মামলার আসামি, নভেম্বর ২৮–২৯ তারিখে ঢাকায় একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন
কেন্দ্রীয় সরকারের ভোটার তালিকা “স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন” (এসআইআর) কার্যক্রমের পর পশ্চিমবঙ্গজুড়ে নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অবৈধ নাগরিক ঘোষণার ভয় সামলাতে না পেরে বীরভূম জেলার ইলামবাজারে ৯৫ বছর বয়সী ক্ষিতিশ মজুমদার আত্মহত্যা করেছেন। বাংলাদেশের বরিশালের বাসিন্দা এই বৃদ্ধ কয়েক দশক আগে ভারতে এসেছিলেন এবং নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে চাপগ্রস্ত ছিলেন, বিশেষত ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তার নাম না থাকায়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া বা ডিটেনশন ক্যাম্পে যাওয়ার ভয়ে অতিশয় চিন্তায় ছিলেন। গত ৭২ ঘণ্টায় দিনহাটা এবং পানিহাটিতে আরও দুটি আত্মহত্যা ঘটেছে, যা বৃদ্ধ এবং প্রবীণ নাগরিকদের ওপর মানসিক প্রভাবের সংকেত দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছেন, এটিকে “ভয়, বিভাজন ও ঘৃণার রাজনীতির করুণ পরিণতি” আখ্যায়িত করে নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসআইআর এবং ভোটার তালিকা সংশোধন কার্যক্রম আসলে একটি রাজ্যভিত্তিক এনআরসি প্রক্রিয়া, যা বিশেষ করে আধুনিক পরিচয়পত্রহীন প্রবীণদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। এই ঘটনাগুলো রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছে এবং নাগরিকরা তাদের আইনি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তর মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে সাধারণ মানুষ নাগরিকত্ব ও পরিচয় নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের ভোটার তালিকা “স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন” (এসআইআর) কার্যক্রমের পর পশ্চিমবঙ্গজুড়ে নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে
ইসরায়েলের সেনারা ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে দক্ষিণ লেবাননের ব্লিদায় একটি পৌর ভবনে অভিযান চালিয়ে পৌর কর্মী ইব্রাহিম সালামেহকে হত্যা করেছে। ড্রোন ও সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। ইসরায়েল এই ভবনটি হিজবুল্লাহ ব্যবহার করেছিল—এর কোনো প্রমাণ দেয়নি। সেনারা দাবি করেছে, “সন্দেহভাজন” ব্যক্তির মুখোমুখি হলে গুলি চালানো হয়েছিল, তবে সালামেহ লক্ষ্যবস্তু ছিলেন কি না তা অজানা। হামলার পর লেবাননে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন সেনাবাহিনীকে দক্ষিণ সীমান্তে যেকোনো ইসরায়েলি অনুপ্রবেশ প্রতিহত করার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম হামলাকে লেবাননের সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানান। ব্লিদা ও আশপাশের শহরগুলোতে বিক্ষোভে সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়।
ইসরায়েলের সেনারা ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে দক্ষিণ লেবাননের ব্লিদায় একটি পৌর ভবনে অভিযান চালিয়ে পৌর কর্মী ইব্রাহিম সালামেহকে হত্যা করেছে
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাগচি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্তকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। আরাগচি এই সিদ্ধান্তকে ‘পশ্চাদমুখী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ বলে উল্লেখ করেছেন। ৩০ অক্টোবরের এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন তাদের ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ’কে ‘যুদ্ধ বিভাগ’ হিসেবে নামান্তর করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত চরিত্র প্রকাশ করে। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রই ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিকে অপবাদ দিচ্ছে এবং আমাদের সুরক্ষিত স্থাপনাগুলোতে হামলার হুমকি দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ‘ভণ্ডামি’কে নিন্দা জানিয়ে বলেন, অন্যদিকে তারা নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিস্তার-ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এটি গুরুতর হুমকি তৈরি করবে বলে সতর্ক করেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাগচি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্তকে তীব্র সমালোচনা করেছেন
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ১১৩ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।